আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।।ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের আকস্মিক সফরকে চকমপ্রদ কিন্তু প্রয়োজনীয় বলছেন কূটনীতিক বিশ্লেষকরা।ভূরাজনৈতিক নানান পরিবর্তনে ভারত বাংলাদেশকে বন্ধু হিসেবে পাশে চায় বলেই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তার এই সফর বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যে অমিমাংসিত বিষয়গুলো আছে দু’দেশের মধ্যে তা সমাধানের এখনই সময় এমনটাও মত তাদের।
করোনার পরিস্থিতিতে প্রথম কূটনৈতিক সফর হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়ার কারণ কী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার? কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, বন্ধুদেশ হিসেবে বাংলাদেশকে কোনোমতেই হারাতে চায় না তারা। হঠাৎ সফরের প্রথমদিনে শ্রিংলা দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে। পরদিন দেখা করেন বাংলাদেশের কয়েকজন গণমাধ্যম সম্পাদক এবং সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের সাথে।
শহিদুল হক মনে করেন, ভ্যাকসিন পলিটিক্স এখন একটি বড় ইস্যু। তারচেয়েও বড় কথা, দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার সত্যতা যাচাই।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেন, ‘দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নানারকম সম্পর্ক থাকে সেক্ষেত্রে অনেক সময় সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হতেই পারে। তবে, এর একমাত্র পথ হলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা।’ ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে জানান, যে দেশ স্বল্পমূল্যে এবং দ্রুততম সময়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে তাদের কাছ থেকেই নেয়ার চেষ্টা থাকবে।
সাবেক আরেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন মনে করেন, এয়ার বাবল, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং সীমান্তে হত্যা বন্ধের মতো বেশ কিছু আলোচনা বাংলাদেশ সঠিকভাবে তুলে ধরতে পেরেছে ভারতের সামনে।
বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যকার সম্পর্ক ভালো হওয়ায় ভারতের সাথে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে এ ধরণা ঠিক নয় বলে মত সাবেক কূটনীতিক হুমায়ূন কবীরের।তারা মনে করেন, মূলত এই সফরের মধ্য দিয়ে ভারত বুঝতে চেয়েছে যে তাদের প্রতিবেশীর পররাষ্ট্রনীতি একই পথে রয়েছে কী না।
আমাদেরবাংলাদেশ/রিফাত